বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ১.৬%

প্রকাশিত: ২২ জুন, ২০২০ ০৮:০৬:০৮

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ১.৬%

করোনা মহামারিতে ভয়াবহ মন্দায় পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এর জেরে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে হবে মাত্র ১.৬ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গত সোমবার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশের শিল্প খাতের সাফল্য ম্লান করে দিয়েছে করোনা মহামারি। এতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহও কমেছে। এর ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হবে ১.৬ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে তা আরো কমে হবে ১ শতাংশ।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশে ৮.১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এই অর্থবছরে তা ৮.২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে দুই মাসের বেশি সময় চলা লকডাউনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে। এর প্রভাবে এবার বাংলাদেশ ৩.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কা, প্রবৃদ্ধির হার আরো কমবে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাকের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনৈতিক অভিঘাত মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিশ্ববাজারে তেলের ব্যাপক দরপতন থেকে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি হ্রাস সেটার জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বৈশ্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর গভীর মন্দায় তলাবে বিশ্ব অর্থনীতি, যা হবে ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। এমনকি এবারের সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশ যে মারাত্মক মন্দায় পড়েছে, তাতে এ সংকটকে ১৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলা যায়। মহামারির কারণে কয়েক মাস ধরে বাণিজ্য অনেকটাই স্থবির। এতে বিশ্বে প্রবৃদ্ধি ২০২০ সালে ৫.২ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সিয়েলা পাজারবাসিওগ্লু বলেন, ‘এটি একটি গভীর অর্থনৈতিক সংকট, যা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষত রেখে যাবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’ সংকটের গভীরতা ৭ থেকে ১০ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যে ফেলবে। আগের পূর্বাভাসে ছয় কোটি মানুষের কথা বলা হয়েছিল।

বিশ্বব্যাংক বলছে, অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে পরে শুরু হয়েছে। এসব দেশে মহামারি প্রাথমিকভাবে ছোট পরিসরে ছড়ালেও এখন তা দ্রুত ছড়াচ্ছে। মহামারির কারণে দারিদ্র্য  দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় প্রভাব ফেলবে। এই অঞ্চলে শ্রমিকদের একটি বড় অংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত, যার কারণে মহামারি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক বাধাগুলো তুলনামূলক বেশি সমস্যা সৃষ্টি করবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/মারুফ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ